সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন, অর্থনীতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার কঠিন ও সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে যখন লঙ্গরখানা খোলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে সরকার এ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে পারেনি।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, মূলত বঙ্গবন্ধুর আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তায় বিশ্ব মোড়লরা ‘থ্রেট ফিল’ করেছিলো। মুজিবকে ভয় থেকে মুজিবের বংশকে ভয়। তাই বিশ্ব মোড়ল ও তাদের এ দেশীয় দালালরা তাকে নির্বংশ করার জন্য তাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ চালু করা হয়েছিলো। পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করেছিলো। শেখ রাসেল ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের চরিত্রে কালিমা লেপন করেছিল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঘাতকদের ভয় অমুলক ছিল না। শেখ হাসিনাই তার প্রমাণ। গত ৪৭ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বাবার মতই যা বলেন তা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা শোককে শক্তিতে রুপান্তর করেছি। সেখান থেকে জাগরণ হয়েছে। সে জাগরণের ফলে বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীসহ অনেকে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।