সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতেই হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, যারা সম্পদের হিসাব জমা দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দিতে একটি সহজ ফরম তৈরি, জমা দেওয়ার সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কি হবে সেটা আমরা অবশ্যই বলে দেবো, দণ্ডটা কী হবে, তার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নেগেটিভিটি না বললে পজিটিভি জিনিস আসবে না। জমা না দিলেও যা, তা যদি হয়, তাহলে আমি জমা দেবো কেন? জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কি সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেবো তখন বলে দেবো।
জানা গেছে, ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ বছর পরপর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এ এটি যুক্ত করা হয়। সেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নিজ দফতরে জমা দিতে হবে।
তবে, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে ওই বিধিমালা সংশোধন করে এক বছরের পরিবর্তে প্রতি পাঁচ বছর পরপর কর্মচারীদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। কিন্তু চার দশক ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি প্রতিপালন করা যায়নি। এ ইস্যুতে এবার নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।