সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ইউএনওর যত অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কলেজের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রচলিত আইন বা নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই কলেজের বিভিন্ন ফরমপূরণ, ভর্তি এবং অতিরিক্ত বেতন ফি আদায়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সুবিদখালী সরকারি কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানিয়া ফেরদৌস।

কলেজের অনিয়ম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অশোভন এবং দুর্নীতির বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কাছে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদনে ইউএনও উল্লেখ করেন, সুবিদখালী সরকারি কলেজের গত এক বছর পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বে আছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কলেজের কোন স্থায়ী সম্পত্তি,বিভিন্ন আয়ের উৎস সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি। কলেজে ক্যাম্পাসের পাশে ১০-১২টি দোকান রয়েছে, তার আয়-ব্যায়ের হিসেব জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এড়িয়ে যান এবং দোকন ভাড়ার টাকা কোন ব্যাংকে জমা করা হয় তার কোন প্রমাণ দিতে পারেননি। বিভিন্ন সময়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি ফি,ফরম পূরণ,পরীক্ষা সংক্রান্ত আয়-ব্যায়ের কোন হিসাব সভাপতিকে জানান না ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। সরকারি ফিয়ের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ। এসব বিষয়ে কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে মাসিক বা ত্রিমাসিক আলোচনা করতে চাইলেও বিষয়টি অধ্যক্ষ নানা অযুহাতে এড়িয়ে যান। গত ৩১ মে স্বপ্রনোদিত হয়ে সভাপতি কলেজের সব শিক্ষকদের সঙ্গে সভা আহ্বান করলে এসকল অনিয়ম উঠে আসে। 

ইউএনও আরও লিখেছেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান নিজ ক্ষমতাবলে একাই কলেজের কাজ করে যাচ্ছেন। সভায় এ সব আলোচনার কার্যবিবরণীর খসড়া উপস্থাপন করতে অধ্যক্ষকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তিনি তা উপস্থাপন করেনি। কলেজের সার্বিকভাবে আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি নিরিক্ষা টিম বা অডিট টিম গঠন করে গত তিন বছরের আয়-ব্যায়ের পরীক্ষা করানো উচিত বলে মনে করেন কলেজের সভাপতি। 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কলেজর সক শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করেছি। 

কলেজের দোকান ভাড়ার বিষয়ে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কলেজ সরকারি হলে শিক্ষক নিয়োগসহ নানা কাজে প্রতিন্ধকতরা সৃষ্টি হয়েছে। দোকান ভাড়ার টাকা দিয়ে কলেজে অতিরিক্ত শিক্ষকদের বেতন দেয়া হচ্ছে। কলেজ ও কলেজের বাইরের কিছু মহল আমাকে নিয়ে নানা কথা রটাছে। আমি কোন অনিয়ম করেনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজের সভাপতি তানিয়া ফেরদৌস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বক্তব্য প্রতিবেদন আকারেঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। 

পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মুজিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, প্রতিবেদনটি দেখে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা) নঈম উদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমি এখানে নুতন দায়িত্ব গ্রহণ করছি। প্রতিবেদনটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055418014526367