করযোগ্য আয় থাক বা না থাক, সরকারি পিয়ন-দারোয়ানকেও ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। চলতি অর্থবছরের জারি করা নতুন আয়কর আইনের বলে তাঁদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাঁরা রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে ১১তম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীর সংখ্যাই ১২ লাখ ১৭ হাজারের বেশি। এই বিপুলসংখ্যক সরকারি কর্মচারীকে এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সরকারি কর্মচারীদের যে বেতন স্কেল, বেশির ভাগেরই আয়কর রিটার্ন দিতে হলেও তাঁদের কর দিতে হবে না। চলতি অর্থবছরে যাঁদের বেতন সাড়ে ৩ লাখ টাকার কম, তাঁদের আয় করমুক্ত। তাতে দেখা যায়, যাঁদের প্রারম্ভিক মূল বেতন ৮২৫০ টাকা থেকে ১৬০০০ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের কর দিতে হবে না। তবে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, কর না দিতে হলেও করনেট বাড়ানো ও স্বচ্ছতার জন্যই রিটার্ন দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এ ছাড়া অনেক কর্মচারীর বেতন করমুক্ত হলেও, তাঁদের কারও কারও অন্য আয় থাকতে পারে, সে কারণেও রিটার্ন দিতে হবে। এতে তাঁদের আয় ও সম্পদের চিত্র সম্পর্কে জানা যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের আয়করের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরো কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে সহায়তা করবে নতুন আয়কর আইন। তারই অংশ হচ্ছে, সরকারি কর্মচারীদের রিটার্নের আওতায় আনার বিষয়টি। এর মাধ্যমে দেশে কর সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে। যাঁদের বাড়তি আয় আছে, তা করের আওতায় আসলে সরকারও এ থেকে বাড়তি কিছু কর পাবে।