পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম সরোয়ার বাদলের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে ওই শিক্ষক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
মো. গোলাম সরোয়ার বাদল সুবিদখালী রোকেয়া খানম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বাড়ি উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামে। তিনি বিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কের পূর্বপাশে সরকারি জমি সংলগ্ন জমি ক্রয় করেছিলেন।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী মৌজার ২৯৬ খতিয়ানের ৮৪নং দাগসহ তিনটি দাগের মধ্যে সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ৭ শতাংশ জমি রয়েছে। তা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম সরোয়ার বাদলসহ আরো কয়েকজন। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার একাধিবার ঘটনাস্থলে এসে নির্মাণ কাজ চলাতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তা উপক্ষো করেই ভবন নির্মাণ কাজ চলছে।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোঃ গোলাম সরোয়ার বাদল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি কবলা সূত্রে ওই জমির মালিক। আমি কোনো সরকারি জমি দখল করিনি। ক্রয় করা জমিতে ঘর উঠাচ্ছি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. আবুল কালাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস থেকে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বলেছি। অথচ তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইমরান জাহিদ খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যদি কেউ সরকারি জমি দখল করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সরকারি জমি উদ্ধারে যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাকে তার কাগজপত্র দেখানোর জন্য ডাকা হবে।