মন্দির কিংবা দরগা যাই হোক না কেন, সরকারি রাস্তা, জলাশয় কিংবা রেলের জমি দখল করে তৈরি করা হলে তা আইন অনুযায়ী ভাঙা হবে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত আজ মঙ্গলবার এক নির্দেশে এ কথা বলেছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ‘সবার আগে মানুষের নিরাপত্তা। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। দখলবিরোধী বুলডোজার অভিযান সমস্ত নাগরিকের জন্যই হবে। তাঁদের ধর্ম দেখে হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার বুলডোজারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করা একটি আবেদনের শুনানি করছিলেন বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। এ সময় বিচারকদের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বুলডোজার ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙা হচ্ছে। এর মধ্যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে বুলডোজারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন কয়েকজন ব্যক্তি।
সেই আবেদনের শুনানিতে আজ উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, বিষয়গুলো পৌর আইনের ওপর নির্ভরশীল।
অন্যদিকে বেঞ্চ বলেছেন, পৌর কর্পোরেশন এবং পঞ্চায়েতগুলোর জন্য আলাদা আইন রয়েছে। এমন একটি অনলাইন পোর্টাল থাকা উচিত, যার মাধ্যমে মানুষেরা সচেতন হতে পারে।
আদালত আরও বলেন, ‘আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং আমাদের দিকনির্দেশনা হবে ধর্ম বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের জন্য। যদি কোনো ধর্মীয় স্থাপনা, সেটি গুরুদ্বার, দরগাহ বা মন্দির যাই হোক না কেন, সেটি যদি জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা, ফুটপাত, জলাশয় বা রেল লাইনের জমি দখল করে হয়, তবে তা ইমারত আইন অনুযায়ী ভেঙে ফেলা হবে। কোনোভাবেই জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না।’
বিচারপতি গাভাই বলেন, ‘অননুমোদিত নির্মাণের জন্য আইন থাকতে হবে। এটি ধর্ম বা বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল নয়।’