স্বাধীনতার সূচনালগ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০টি গ্রেডে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বৈষম্যের পাহাড় তৈরি হয়ে ২০টি গ্রেডে রূপান্তরিত হয়। সে বৈষম্যে আজও বিদ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের স্বচ্ছন্দে জীবন যাপনের জন্য বেতন স্কেল দ্বিগুণ করেছেন। এর ফলে বৈষম্যের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকলেও সরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছিল।
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে অভাব-অনটনের মাঝে সরকারি কর্মচারীরা জীবন কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্বের কবলে আছেন প্রবীণ পেনশনভোগীরা। তাঁরা চিকিৎসাসহ সh সেবা ও নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধিতে ধুঁকে ধুঁকে পরপারে চলে যাচ্ছে। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সংহতি রেখে শিক্ষক কর্মচারীরাসহ সব সরকারি কর্মচারীর জন্য মহার্ঘ ভাতা সময়ের প্রত্যাশা। পাশাপাশি পেনশনভোগী সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা দশ হাজার টাকাসহ ১০০ ভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের ১৫ বছরের স্থলে ৮ বছর করার দাবি বিবেচনার জন্য আজকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করাও প্রয়োজন।
স্বল্পমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি সরবরাহের মাধ্যমে পেনশনভোগীসহ সকল ২য়, ৩য়, ৪র্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এদেশের গণমানুষসহ দুদর্শাগ্রস্ত পেনশনভোগী ও সরকারি কর্মচারীদের অতি আপনজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। অসহায় মানুষের পাশাপাশি কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে আসবেন, এ ভরসা করছি। জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ ও সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম
