দেশের সরকারি হাইস্কুলগুলোতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কোটায় ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া স্কুল ভর্তিতে ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছেলেমেয়ে বা নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ও এর অধিনস্ত দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ২ শতাংশ, স্কুলের শিক্ষার্থী সহোদর বা যমজ ভাই-বোনোর জন্য ৫ শতাংশ আসন কোটায় সংরক্ষণ করা হবে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নীতিমালায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে আবেদন। এবার শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনে তে পাওয়া যাবে। ঢাকা মহানগরীসহ সব সরকারি ও সরকারিকৃত স্কুলে এবং জেলার সদর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আর অন্যন্য বেসরকারি স্কুলেও ভর্তি কমিটি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে।
আরো পড়ুন : সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ
ভর্তি কোটা নিয়ে সরকারি স্কুলের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীর সব সরকারি বিদ্যালয়ের আওতাধীন ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা শর্তে ভর্তির ক্ষেত্রে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে ভর্তির সময় এ সংক্রান্ত প্রমাণস্বরূপ যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ণ দাখিল করতে হবে। এ কোটায় কোনো শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান ভর্তির সময় তাঁর দপ্তর প্রধানের বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাই-বোন যদি পূর্ব থেকে অধ্যয়নরত থাকে সেসব সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাইবোনের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির মোট দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য রকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নীতিমালাটি তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।