সরকারিকৃত স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে দ্রুত নতুন বিধিমালা জারির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের বিধিতে কাম্যযোগ্যতার অজুহাতে প্রধান শিক্ষকদের নিচের পদে পদায়ান করে অন্যজনকে সরকারিকৃত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই সব শিক্ষক কর্মচারীকে স্ব-পদে আত্তীকরণের বিধান রেখে দ্রুত ‘সরকারিকৃত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০২০’ জারির দাবি জানিয়েছেন সরকারিকৃত শিক্ষক নেতারা।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টনে ঢাকা সরকারি বধির হাই স্কুলে সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এসব দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। সভা শেষে এ দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
সভায় শিক্ষক নেতার বলেন, সরকারিকৃত স্কুল কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের বিধিতে আত্তীকরণ করার নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কাম্যযোগ্যতার অজুহাতে প্রধান শিক্ষকদের নিচের পদে পদায়ন করে অন্যজনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে বিদ্যালয় পরিচালনায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে আংশিক শিক্ষকের পদসৃজন করা হয়েছে। বাকি শিক্ষকদের পদ সৃজন না করে মতামত চাওয়া হচ্ছে। নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় স্কুলগুলোর শূন্যপদগুলোতে নিয়োগ দিতে না পারায় জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
তাই শিক্ষকরা ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের সামরিক বিধিতে আত্তীকরণ না করে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বপদে আত্তীকরণের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত আত্তীকরণ বিধিমালা জারি করার দাবি জানান।
সভা শেষে এ দাবি জানিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে আবেদন জমা দেন শিক্ষক নেতারা। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সমিতির সভাপতি সুধাংশু শেখর তালুকদার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম খালেক।
তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নতুন আত্তীকরণের বিধিমালা জারির দাবি জানিয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এতে নতুন বিধিমালায় কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো, নিয়োগকালীন যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সব শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্ব-পদে আত্তীকরণ, প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে অভিজ্ঞতা গণনা করে পদভিত্তিক গ্রেডেশন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দিন যেসব শিক্ষক-কর্মচারীর বয়স ৫৯ উত্তীর্ণ হয়নি তাদের সরকারি সুবিধার আওতায় আনা, ভোকেশনাল ও বিএম শাখার শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আত্তীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করে দ্রুত অ্যাডহক নিয়োগ দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দিন বয়স ৫৯ বছর উত্তীর্ণ হয়নি কিন্তু আত্তীকরণের আগেই অবসরে গিয়েছেন এমন শিক্ষক-কর্মচারীদের ভুতাপেক্ষ নিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা দেওয়া।