সর্বজনীন পেনশন স্কিম পুনর্বিবেচনার তাগিদ বিশ্লেষকদের

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দেশের সকল শ্রেণির মানুষদের পেনশন কার্যক্রমে নিয়ে আসতে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ চালু করে শেখ হাসিনার সরকার। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে চারটি স্কিম নিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম।

শুরু থেকেই এই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। বিশেষ করে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে উত্তপ্ত হয় দেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। রাস্তায় নামে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে পিছু হটে সরকার।

গেল বছরের ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম। এ পর্যন্ত চারটি স্কিমে বিনিয়োগ করেছে ৩ লাখ ৭২ হাজার মানুষ। এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ১২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রতিমাসেই বিভিন্ন স্কিমে বাড়ছিল মানুষের অংশগ্রহণ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুরো পেনশন ব্যবস্থা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিপত্তি।

এ অবস্থায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর্থিক খাতের অনিয়ম আর ভঙ্গুর দশায় বেড়েছে আস্থাহীনতা। গেল জুলাই ও আগষ্ট মাসে এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন খুবই কম সংখ্যক মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের দিকনির্দেশনা পেলে নতুন উদ্যোমে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশ্লেষকরা বলছেন, সার্বিক কার্যক্রম পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

এ নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে অস্থিতিশীলতা চলছে। নতুন সরকার স্থিতিশীল হলে আমরা যোগাযোগ করবো। এরপর নির্দেশনা পেলে এই ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর হাতেগোনা কয়েকজন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। পুরনো যারা তারা টাকা জমা দিচ্ছেন। কিছু মানুষ জানতে চায় এটি চলবে কিনা, তাদের বলতে চাই- এটি আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান। সুতরাং উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

আর্থিক খাতের লাগামহীন অনিয়ম এবং ভঙ্গুর দশার কারণে আগের সরকারের হাতে নেয়া এই উদ্যোগ নিয়েও শুরু হয়েছে টানাপড়েন। বিষয়টি নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, এই উদ্যোগটাকে কীভাবে দরিদ্র ও অসহায়দের কাছে আকর্ষণীয় করা যায় এবং তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায় সে বিষয়ে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করা দরকার।

সাধারণ মানুষদের এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে পুরনো কাঠামো ভেঙে নতুন করে পেনশন ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ভঙ্গুর দশার কারণে মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে আস্থা ফেরাতে হবে। এটি তো একটি বিনিয়োগ। মানুষ সরকারের ফান্ডে দীর্ঘসময় বিনিয়োগ করবে, দীর্ঘ সময় পর তার সুবিধা পাবে। কাজেই এই সময়টার প্রতি আস্থা আনার উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক হচ্ছেন যারা - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক হচ্ছেন যারা ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের মসজিদ ইবাদাতের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চারও একটি কেন্দ্র হতে পারে: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha মসজিদ ইবাদাতের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চারও একটি কেন্দ্র হতে পারে: ঢাবি উপাচার্য ঢাকা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূঁঞার ঘুষ বাণিজ্য - dainik shiksha ঢাকা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূঁঞার ঘুষ বাণিজ্য দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027692317962646