পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় মোট বিদ্যালয়ের মধ্যে ছয়টি বিদ্যালয়ে কোনো একাডেমিক ভবন নেই। ওই ছয়টিসহ ৩৯টি বিদ্যালয়ের ভবন জরুরি ভিত্তিতে হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। একাডেমিক ভবন না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় যে সকল বিদ্যালয়ে কোন ভবন নেই সেগুলো হলো- সাঁথিয়া ফকিরপাড়া ১৭৫ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজাপুর ১৭৬ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাগলা ১৭৭ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তৈলকুপি ১৭৮ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়েকমারি ৯৭ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পাইকপাড়া ১৬১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এর মধ্যে রায়েকমারি ও পাইকপাড়া বিদ্যালয়ের পুরাতন দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ক্ষুদ্র মেরামতের দুইলাখ টাকার মধ্যে বিকল্প হিসেবে নির্মিত দুটি টিনের ঘরে অস্থায়ীভাবে পাঠদান চলছে।
এসব বিদ্যালয়ের কয়েকটিতে ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো স্কুলের একটিমাত্র চারচালা টিনের ঘর। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ কম থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলাসহ বিনোদনের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপজেলার পাগলা ১৭৭ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ১৮০ জন শিক্ষার্থী এবং চারজন শিক্ষক রয়েছেন। চারকক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর আছে কোনো একাডেমিক ভবন নেই। সীমানা প্রাচীর নেই, ওয়াশরুম নেই, একটি মাত্র টয়লেট, পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষ এবং অফিসকক্ষ যথেষ্ট নয়।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, শিক্ষা কমিটির সভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ভবন নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীরের চাহিদার কথা একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের চাহিদার রেজুলেশন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠানই ভবন পাবে। তিনি আরও বলেন, একাডেমিক ভবন না থাকায় পাঠদানের মান বা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।