খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) গ্রামীণফোন লিমিটেড কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রদত্ত লভ্যাংশের নির্ধারিত অংশের চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
ভারতের বিপক্ষে কানপুরে মাঠে নামার আগে হঠাৎ করে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগামী মাসে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চান এই অলরাউন্ডার। কিন্তু সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
তাই বিসিবি এবং সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন সাকিব। যদি সুযোগ থাকে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলতে চান বলে জানিয়েছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার। সে জন্য বিসিবিকে কয়েকটি শর্তও দিয়েছেন তিনি।
মূলত, দেশে তার নিরাপত্তা এবং দেশ ত্যাগের সময় যেন কোনো জটিলতায় না পড়তে হয়, তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি শুধু বিসিবির হাতে নেই বলে জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বোর্ড সভা শেষে ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি তো কোনো এজেন্সি, পুলিশ বা র্যাব নই। এটা (নিরাপত্তা) আসলে আমার বা বিসিবির হাতে নেই। এটা সরকার-পর্যায় থেকে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সংসদ সদস্য পদ হারিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে হত্যা মামলা। সবশেষ শেয়ার বাজার কারসাজির অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সাকিবকে। এরই মধ্যে তিনি টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন।