সাধারণ ধারার স্কুলগুলোতেও চালু হচ্ছে বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল কোর্স। সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় ৫২৮টি স্কুলে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব স্কুলের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও ল্যাব অ্যাসিসটেন্টদের এমপিও আবেদন প্রক্রিয়াকরণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সোমবার (১৬ মার্চ) শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ছয়শ’ চারটি স্কুল ও মাদরাসায় এক হাজার ১৯৯টি শিক্ষক পদে নিয়োগে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ৮ জানুয়ারি থেকে এসব পদে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ২২ জানুয়ারির পর্যন্ত চলে আবেদন গ্রহণ। ভোকেশনাল শিক্ষক পদের মধ্যে মাত্র ৬৭৬টি পদে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়। সে প্রেক্ষিতে গত ২৭ জানুয়ারি ৬৭৬টি ভোকেশনাল শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করা হয়। ২ মার্চের মধ্যে এসব ট্রেড ইনস্ট্রাক্টরকে যোগদানের সময় দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে স্কুলগুলোতে নিয়োগ পাওয়া ট্রেড ইনস্ট্রাক্টরদের এমপিওভুক্তির আবেদন প্রক্রিয়া করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৫২২টি স্কুলে ২জন করে ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪৫ দিনের মধ্যে এসব স্কুলে কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনলজির জন্য একজন ও অন্যান্য ট্রেডের জন্য একজন ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট নিয়োগ দিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে। আজ এসব ল্যাব অ্যাসিসটেন্টদের এমপিওভুক্তির আবেদন প্রক্রিয়া করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
সাধারণ ধারার স্কুলগুলোতেও চালু হচ্ছে বৃত্তিমূলক বা ভোকেশনাল কোর্স। সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর অংশ হিসেবে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জনবল কাঠামো সংশোধন করে এসব পদের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। গত ৩ নভেম্বর এসব পদে নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, সাধারণ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হবে ভোকেশনাল কোর্স। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত ট্রেডগুলোর মধ্যে পছন্দ অনুসারে দুটি ট্রেড চালু হবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে, কর্মমূখী শিক্ষাকে আরও জনপ্রিয় করতে এবং বেকারত্ব কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিটি সাধারণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুটি করে ভোকেশনাল ট্রেড অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।