বাসে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার (হাফ পাস) আন্দোলন যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশেই শর্তহীনভাবে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষ রাজধানীর সড়কে আটকে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু কারও যেন কিছুই করার নেই। ছাত্রদের হাফ ভাড়ার দাবিতে কোনো শর্ত গ্রহণযোগ্য নয়।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদের বলেন, সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। তেলের দাম বাড়ার পর থেকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় যে হারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, পরিবহনশ্রমিকেরা এর চেয়ে বেশি আদায় করছেন। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে সিএনজিচালিত বাসও। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করে পথে নামিয়ে দিচ্ছেন শ্রমিকেরা।
জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেন, পরিবহনমালিক–শ্রমিকেরা একশ্রেণির নেতার কাছে জিম্মি হয়ে আছেন। সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ না দেখে পরিবহনমালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে ভাড়া বাড়িয়েছে। সরকার জনগণের পক্ষে কাজ করছে না। সাধারণ মানুষ মনে করছে, সরকারও পরিবহনমালিকদের কাছে জিম্মি। তিনি সড়কপথের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে কাজ করছে জাতীয় পার্টি। তাই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক ভালো, তাঁরাই জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাবেন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জোটের কথা ভুলে কাজ করুন, কারও সঙ্গেই জোট হবে না। জাতীয় পার্টি এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে।’
এর আগে আইনজীবী খাজা তানভির আহমেদের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতা-কর্মী জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং যোগদানকারীদের মধ্যে খাজা তানভির আহমেদ ও সামছুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপা উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক প্রমুখ।