ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই চলমান বৃষ্টিপাত আরও তিন-চার দিন অব্যাহত থাকবে।
একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৩৯ মিলিসহ নেত্রকোনায় ১০৫ মিলি, নিকলীতে ১০৩ মিলি এবং তেঁতুলিয়ায় ১০০ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকায় সকালে বৃষ্টি না হলেও দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেকে বৃষ্টি হয়। সকালে বৃষ্টি না হওয়ায় ঈদের দ্বিতীয় দিন মানুষ স্বস্তিতে পশু কোরবানি দিতে পেরেছেন।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পরবর্তীকালে ৪৮ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা বলা হয়, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনের অবস্থায় আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৮৭ মিলি, রাজশাহীতে ৩০ মিলি, রংপুরে ৪৮ মিলি, ময়মনসিংহে ৭৭ মিলি, সিলেটে ৭৪ মিলি, চট্টগ্রামে ১৩৯ মিলি এবং বরিশালে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
বৃষ্টিপাতের কারণে নিকলীতে তাপমাত্রা কমে ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস দাঁড়িয়েছে। তবে যশোরে ৩৮ মিলি বৃষ্টি হলেও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৩.৮ এবং সর্বনিম্ন ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।