শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। তারা প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ চেয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। ছাত্রদলের ব্যানার ছেঁড়া ইস্যুতে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। তারা আট দফা দাবিও জানিয়েছেন।
রাতে ব্যানার ছেঁড়া নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘ছাত্রলীগ-সমর্থিত শিক্ষার্থীদের’ সংঘর্ষ- এমন শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারও ছেঁড়া হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি বিবৃতি সামনে সামনে আসে। এতে বলা হয়, কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টানানো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা-সংবলিত ব্যানার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা-সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তদন্তবিহীনভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিকৃবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে বৈঠকের আহ্বান জানায়। তবে শিক্ষার্থীরা তা নাকচ করে সবাইকে নিয়ে কথা বলতে চান বলে জানান।
সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক আলিমুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রদলের ব্যানারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টানানো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা-সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি বিবৃতি ড্রাফট (খসড়া) করেছিলাম। ছাত্রদলের ব্যানারের সঙ্গে ভর্তির ব্যানার ছেঁড়া রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধের সামিল কি না, তা উল্লেখ করা হলেও তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়নি।
সেটি কীভাবে প্রকাশ পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, ভর্তি নস্যাৎ করতে সারা দেশে এরকমই হচ্ছে। এর পেছনে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সার্বিক বিষয় খতিয়ে প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আজই কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসে আলোচনা করে সুরাহার চেষ্টা চলছে বলেও জানান উপাচার্য।