আমাদের বার্তা ডেস্ক: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রাণীদের প্রতি সদয় হতে হবে। এ বিষয়ে নিজেদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রাণীদের প্রতি মানুষের আচরণ প্রাণীর উৎপাদন ও প্রজননে প্রভাব ফেলে। বুধবার সকালে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর অ্যাপ্লাইড ইথলজির (আইএসএই) উদ্যোগে এবং সিকৃবির ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সহযোগিতায় ‘প্রাণীর আচরণ বিদ্যার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাণীর কল্যাণ ও প্রাণীজ খাদ্য উন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা এসব কথা বলেন।
ভেটেরিনারি, অ্যানিমেল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আমেরিকার মিশিগান স্টেইট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জেনিস সিগফোর্ড এবং কানাডার কেলগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রফেসর মারিয়া ক্যামিলা কেবালস। প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা লাকীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. মো. আছির উদ্দিন, শাবিপ্রবি প্রফেসর ড. রোমেল আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জৈব বৈচিত্র্য রক্ষায় প্রাণীকুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রাণীদের প্রতি সদয় হওয়ার মাধ্যমে মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। মানুষ ও পশুপাখির অনুভূতি একই। প্রাণীর আচরণ ভালোভাবে বুঝতে হলে প্রাণীদের সাথে বোঝাপড়া বাড়াতে হবে। প্রাণীদের ভাল খাদ্য সরবরাহ করা, ভালো বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, রোগের চিকিৎসা প্রদান, সঠিক যত্নের প্রতি গুরুত্বারোপ এবং প্রাণীদের প্রতি নির্দয় না হয়ে সদয় হওয়ার আহবান জানান বক্তারা।
দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসরবৃন্দ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারি এবং ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।