রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ জনে।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
উদ্ধার হওয়া দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে একজন হলেন বংশালের ২৫ মালিটোলা লেনের রবিউল্লাহর ছেলে মমিন উদ্দিন সুমন (৪৫)। মৃতের খালাতো ভাই মো. রাসেল মরদেহটি সনাক্ত করেন। মমিন স্যানিটারি দোকান অনিকা এজেন্সির মালিক ছিলেন বলে জানান তিনি।
নিহত আরেকজন হলেন শরীয়তপুরের গোসাইরহাট জেলার উপজেলার নাকেরপাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে রবিন হোসেন শান্ত (২০)। তিনি স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। নিহতের বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেন তাকে সনাক্ত করেন।
শাহাদাৎ হোসেন জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে রবিন ছিলেন সবার ছোট। মাত্র দুই মাস আগে বিয়ে করেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম সোনিয়া।
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক আকতারুজ্জামান জানান, দুজনের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, ভবনের বেজমেন্টের এক জায়গায় অনেক মাছি থাকায় সেখানে মরদেহ আছে- এমন সন্দেহে সেখানে র্যাবের ডগ স্কোয়াডকে কাজে লাগানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ দুটি জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল চারটা ৫০ মিনিটে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাততলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচতলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত মোট ৬৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ১০ জন ভর্তি রয়েছেন।