সিলেটের বিশ্বনাথ কলেজের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার সময় তাদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করে। এতে ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছে বিশ্বনাথ কলেজ ছাত্রদলের কর্মীরা। গতকাল পরীক্ষায় অংশ নিতে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে কেন্দ্রে যায়।
পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা জাকিরের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ওপর হামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান। এ সময় লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধোর করা হয়। এতে ছাত্রদল নেতা কামরান আহমদ, লায়েক আহমদ, নাইম আহমদ, নোমান আহমদ ও এনামুল হাসানসহ ১০ জন আহত হন। তাদেরকে প্রথমে বিশ্বনাথ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে। কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা। এতে তাদেরও কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগের মধ্যে আহত হয়েছেন উজ্জ্বল আহমদ, রেজা আহমদ ও আতিকুল ইসলামসহ কয়েকজন। ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে উত্তেজনামূলক আচরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এদিকে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী। গতকাল তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা দুঃখজনক। নিরীহ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলো। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।