সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরামের’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সীমান্তে হওয়া প্রত্যেকটি হত্যার বিচার করতে হবে। হত্যার শিকার প্রত্যেকের তালিকা করে তাদের পরিবারকে যেভাবে হোক সাহায্য করতে হবে। ভারতের সঙ্গে প্রত্যেকটা চুক্তি হবে সমভাবে। কোনো তাবেদারি বা দালালি থাকবে না।আমরা তাদের থেকে ন্যায্য বিদেশনীতি চাই। সাধারণ ভারতীয়দের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। ভারতের নাগরিকদের ঠিক করতে হবে তারা কেমন বিদেশনীতি চায়।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ভারত আমাদের দেশে জালেম সরকার ক্ষমতায় বসিয়ে আমাদের সঙ্গে অসম চুক্তি করেছে। আমাদের গুজবের মধ্যে রেখে ভারত শুধু শোষণ করেছে। সীমান্তে শুধু দুইটা না হাজার হাজার মানুষ মারছে। যার নিউজ হতে দেয়নি, প্রতিবাদ পর্যন্ত দেয়নি আমাদের সরকার।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের জন্য একটা ভালনারেবল জায়গা। সেই জায়গা দিয়ে বিএসএফ রাস্তা নির্মান করতেছে। ভারতকে এরকম জায়গায় সুযোগ দেয়া উচিত না। এই চুক্তিও বাতিল করতে হবে। তিস্তার ওপর তিনটা ড্যাম দিয়েছে, আমাদের পানি দেয় না যা আমাদের ন্যায্য হিস্যা। প্রত্যেক নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমাদের দিতে হবে। ভারতের সঙ্গে হওয়া সব অসম চুক্তির পুনঃনিরীক্ষণের করে কোনগুলো রাখতে হবে তা ঠিক করতে হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন পিয়াস বলেন, মোদি সরকার আমাদের বার বার মারার চেষ্টা করছে। পানি দিয়ে, পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে, সীমান্ত হত্যার মাধ্যমে। আমাদেরকে বিভিন্ন আগ্রাসী চুক্তি করতে বাধ্য করিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে চাটুকারিতার সম্পর্ক রেখেছে। তাদের দালালির ভুক্তভোগী আমাদের জনগণ। প্রতি মাসে সীমান্তে এক-দুই জন হত্যা তারা জায়েজ করে ফেলেছে। আমরা ভারতের সঙ্গে ন্যায্যতার পররাষ্ট্রনীতি চাই।