ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে নিখোঁজ সবার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনের মরদেহই সাগর নন্দিনী-২ নামে এ ট্যাঙ্কার উড়ে যাওয়া অংশটি থেকে সোমবার উদ্ধার হয়। সবার মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় অভিযান বন্ধ করা হবে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
গত শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ১১ লাখ লিটার তেল নিয়ে বিস্ফোরিত হয় সাগর নন্দিনী-২ । এ সময় ট্যাঙ্কারটির মাস্টার কক্ষসহ পেছনের অংশটি উড়ে গিয়ে নদীর মধ্যে ডুবে যায়। ট্যাঙ্কারে থাকা মোট ৯ জনের মধ্যে ৫ জন আহত ও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হলেও ৪ জন নিখোঁজ থাকেন। গতকাল রোববার দুপুরে বিদ্ধস্ত ট্যাঙ্কারটির ইঞ্জিনরুম থেকে উদ্ধার হয় গিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের মরদেহ। একদিন পর সোমবার সকাল থেকে বিকেল পযন্ত কোস্টগার্ডের নেতৃত্বে বিআইডব্লিটির উদ্ধাকারী জাহাজ নির্ভিক ও ফায়ার সার্ভিস যৌথ অভিযানে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয় জাহাজটির ডুবে যাওয়া অংশ থেকে। এসময় নদী পাড়ে স্বজন ও শতশত মানুষ ভিড় করেন। স্বজনরা ভেঙে পড়েন কান্নায়।
তৃতীয় দিন শেষে যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন, মাস্টার ইনচার্জ রুহুল আমীন খান, সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল ও ড্রাইভার সরোয়ার হোসেন আকরাম। এরআগে রোববার দুপুরে জাহাজের ইঞ্জিন রুম থেকে উদ্ধার হয় গ্রিজার আব্দুস সালাম হদয়ের মরদেহ।
কোস্টগার্ড অপারেশন কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট শাফায়েত হোসেন জানিয়েছে, আইনী প্রক্রিয়ায় মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে অভিযান সমাপ্ত করা হবে। সব তেল খালাশ করে বিদ্ধস্ত জাহাজ সাগর নন্দীটি-২ কে নদীতে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোট ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ঝালকাঠি শহরের পৌরসভা খেয়াঘাটের অপর পাশে সুগন্ধা নদীতে গত শনিবার সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর টাঙ্কারে থাকা মোট ৯ জন শ্রমিকের মধ্যে দগ্ধ হয়ে ৫ জন আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিলেন। নিখোঁজ ছিলেন ৪ জন। সোমবার দিনভর অভিযানে তাদের সবার মরদেহ উদ্ধার হয়।