বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, যে বাংলাদেশের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সামনে সুন্দর বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। তার জন্য কাজ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ-এর এটিএম শামসুল হক মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
জাফর ইকবাল বলেন, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের পর এক রাতের মধ্যে বাংলাদেশ পুরোপুরি এবাউট টার্ন করেছে। সুন্দর বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতেই আমরা লড়াই করছি।
তিনি বলেন, আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। আমি মানুষকে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের মানুষ যখন প্রয়োজন হয়, তখনই রাস্তায় নেমে আসবে।
জাফর ইকবাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রাজাকার যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী হয়েছে। সেই ভুল আর করা যাবে না। কেননা, বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ এতো ত্যাগ আর এতো রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কেনেনি। বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। এই দেশ হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক দেশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সাম্প্রদায়িকতার জন্য ভয়ংকর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই বিপজ্জনক জায়গা থেকে এডজাস্ট করতে হবে। তার জন্য তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে। যারা এগুলো খুব ভালো জানে। নতুন প্রজন্ম যারা একাত্তর দেখেনি, তাদের ইতিহাস পড়তে হবে। জানতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন ডিবিসি’র সম্পাদক প্রণব সাহা, সময় টিভির হেড অব রিসার্চ মোস্তফা হোসেন, একাত্তর টিভির হেড অব এডিটোরিয়াল নূর সাফা জুলহাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া,
আইন বিশেষজ্ঞ ড. ফারজানা মাহমুদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামারুল্লাহ সরকার প্রমুখ। সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।