পাঠ্যবই ছিঁড়ে ফেলে সমালোচিত বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে কমপ্লিট শাটডাউনের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। একই সঙ্গে মু্ক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে নুসরাত, আসিফসহ পাঁচজনকে ডিবির হেফাজতে আনা হয়েছে।
এ সময় তাঁদের পরিবারকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নুসরাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তিনি। জানা যায়, তাঁকে ভোরে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফকে শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁরা হলেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। তার আগেন দিন শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনা ঘটার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন আসিফ মাহতাব।
যেখানে তিনি লিখেন, ‘আপনারা জানেন অনেক মানুষকে কোনো ভ্যালিড কারণ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আপনারা এটাও জানেন আমি আপনাদের পাশে ১০০% ছিলাম, এখনো আছি। এই অপরাধের কারণে আমাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় কিংবা গুম করা হয় তাহলে আপনারা কি করবেন? [না আমি ভয় পাচ্ছি না। যারা নিরাশ্রয় মানুষকে গুলি করে হত্যা করতে পারে, ওই কাপুরুষদেরকে ভয় পাবো কেন? আমি মৃত্যুর জন্য সবসময় প্রস্তুত। সবারই মরতে হবে, এইটাই সত্য।] কিন্তু আমি জনগণের মাইন্ডসেট বুঝতে চাই। এই উম্মাহ কি এক? নাকি এই উম্মাহ স্বার্থপর, বিভক্ত?’