ফল প্রকাশের একদিন আগেই ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ছেলে আবীর চৌধুরী উত্তীর্ণ হয়েছেন জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মার্কশিট শাখার উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। আজ সোমবার প্রকাশিত ফলেও চবির সেই কর্মকর্তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখিত ফলের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় চবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে আবীর চৌধুরী ১৬৯৬তম হয়েছেন। জিপিএসহ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় তিনি ৮৮ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আবীর চৌধুরী নামের ওই পরীক্ষার্থী গত মঙ্গলবার (১৬ মে) ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার রোল নম্বর ছিল ১১০২৪১।
তবে প্রকাশের আগে মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী কীভাবে তার ছেলের ফল জেনেছেন তা জানে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেউ। এ বিষয়ে জানতে আজ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি ওই কর্মকর্তা।
গতকাল রোববার অবশ্য চবির ওই কর্মকর্তা জানান, তার ছেলে ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পেরে তাকে জানিয়েছে।
এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রকাশের আগেই তিনি কীভাবে ফল জেনেছেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে এ বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন, 'প্রকাশের আগেই তিনি কীভাবে ফল জানলেন, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে চবির ওই কর্মকর্তা ছেলের ভর্তি পরীক্ষার ফল জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। তার আগেই অবশ্য চবি কর্মকর্তার ওই পোস্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
গত ১৬ ও ১৭ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। দু’দিনে চার শিফট মিলিয়ে মোট ৫৯ হাজার ৬০৯ পরীক্ষার্থী ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেন।
এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৫০২ জনের সঠিক ওএমআর পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ২৬ হাজার ৯০৭ জন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ২২ শতাংশ।