বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ের সহপাঠীর মাকে প্রকাশ্যে মাফ চাইতে বাধ্য করার অভিযোগে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বগুড়া থেকে প্রত্যাহারে পর প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুনকে ওএসডি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : মেয়ের স্কুলে গিয়ে বিচারকের হুমকি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রাবেয়া খাতুনকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকদের নির্দেশে প্রতিদিন পালা করে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বগুড়া জেলা জজ আদালতের ওই বিচারকের মেয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেবে না বলে জানায়। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপত্তি তোলে। এটা নিয়ে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়ার ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন : ছাত্রীর অভিভাবককে পায়ে ধরানো সেই বিচারক প্রত্যাহার
পরে ওই বিচারক বিদ্যালয়ে এসে চার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন। এর একপর্যায়ে এক নারী অভিভাবককে মাফ চাইতে বাধ্য করেন তিনি। এ সময় বিচারকের পক্ষ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি ও গালমন্দ করেন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিনা নোটিশে ডেকে এনে অপমান করেন একজন শ্রেণিশিক্ষক।
আরো পড়ুন : ছাত্রীর অভিভাবককে পায়ে ধরানো সেই বিচারক প্রত্যাহার
প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঘটা এ ঘটনায় ওই দিন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিন দফা বগুড়া শহরের সার্কিট হাউসের সামনের সড়ক অবরোধ করে।
এর মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন।
আরো পড়ুন : বিচারকের হাতে অভিভাবক অপদস্থ : এবার প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের
বৈঠকে শিক্ষার্থীরা দাবি তোলে, ওই বিচারককে বিদ্যালয়ে এসে ভুক্তভোগী অভিভাবকের কাছে মাফ চাইতে হবে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক ও শ্রেণিশিক্ষককে বদলির দাবি জানায় তারা।