নিখোঁজের ৫ দিন পর শুক্রবার জেসমিন আক্তার পিঙ্কি (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ তারই সহপাঠী বন্ধু যশোরের শর্শা থানার আহসান কবির অঙ্কুরের (২০) বাসার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা পিঙ্কির সঙ্গে অঙ্কুরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারা দুজনই যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হতে পারে।
শুক্রবার বেলা ৩টার শার্শা থানার বুরুজবাগান এলাকায় অঙ্কুরের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এক পর্যায়ে তারা ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লাশ খুঁজে পায়। পরে র্যাব অঙ্কুরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানা গেছে। যশোর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) এর কোম্পানি লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে অঙ্কুরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পিঙ্কি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাউরিয়া কেরালকেতা গ্রামের জাকির হোসেনের কন্যা। তিনি যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। নাভারণ সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নিশাদ আল-নাহিয়ান বলেন, নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিঙ্কির লাশ নাভারন বুরুজবাগান এলাকায় তারই সহপাঠী আহসান কবির অঙ্কুরের বাসায় আছে এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক খোলা হলে নিখোঁজ শিক্ষার্র্থীর লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে অঙ্কুর পিঙ্কিকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে আসে। পরে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়।
যশোর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) এর কোম্পানি লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান বলেন, হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অঙ্কুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।