কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সোনাভরি নদীর ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে সোনাভরি নদীর তীরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সোনাভরি নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার কয়েকশত মানুষ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সোনাভরি নদীর ভাঙনের দুই দিনের ব্যবধানে পাঁচটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের উত্তর চাক্তাবাড়ি, কান্দাপাড়া, পালেরচর ও চর বাঘমারা গ্রামে সোনাভরি নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অর্ধশতাধিক একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা এখন ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়েছি।
উত্তর চাক্তাবাড়ি গ্রামের শাহজাহান সিরাজ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চর বাঘমারা গ্রামের হলহলিয়া নদীর মুখে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় সোনাভরি নদীতে পানি প্রবেশ করে। ওই পানির তীব্র স্রোতের কারণে উত্তর চাক্তাবাড়িসহ ৪টি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রামেই নদীতে ভেঙে যাবে।
কান্দাপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বাড়িটি ভেঙে গেছে। মন্ত্রী ও টিএনও আসছিলেন। ভাঙন বন্ধ করতে বস্তা ফেলার কথা বলছেন, কিন্তু আজো দেননি। আমরা খুব কষ্টে আছি।
রফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা রিলিফ চাই না, চাই নদীভাঙন রোধ। আমার বাড়ি ও জমি নদীতে ভেঙে যাওয়ায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসন খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভাঙনের খবর পেয়ে ওই এলাকায় যাই এবং ক্ষতিগ্রস্থ পবিবারে জন্য কিছু শুকনা খাবার বিতরণ করি। পাশাপাশি ভাঙন রোধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো যাতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।