স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক, ক্লাসে যেতে পারছে না শিক্ষার্থী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি |

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রমনা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ৯ আগস্ট এ ঘটনা ঘটলেও দুই সপ্তাহেও ক্লাসে ফিরতে পারেনি ওই ছাত্র। অভিযোগ রয়েছে ঘটনাটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ্সহ সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা জানলেও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে স্কুলে ফেরাতে পারেনি কেউ। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি হয়।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের নাম মাঈদুল ইসলাম। সে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পানাতিপাড়া গ্রামের মোহাইমিনুল ইসলামের ছেলে।

মাঈদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকম জানায়, গত ৯ আগস্ট স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী মণ্ডল স্যার লাইব্রেরিতে ডেকে স্কুলের জানালা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাগারাগি করেন। আমরা কেনো জানালা চোরকে ধরতে পারি না, এজন্য আমাকে স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি পরের দিন স্কুলে গেলে সেদিনও স্কুল থেকে বের করে দেন। এরপর থেকে আর ওই স্কুলে যাইনি। বিষয়টি বাবা-মাকে জানিয়েছি।

অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে দুই বছর পরীক্ষার সুযোগ না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি কামরান মাহমুদ মুন্নার হস্তক্ষেপে পরীক্ষার অনুমতি মেলে ওই ছাত্রের।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নানী নবীজান বেগম বলেন, আমার নাতি যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে বিচার দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি স্কুলে যেতে নিষেধ করেছেন। এখন আমার নাতির পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী মণ্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সহ-সভাপতি কামরান মাহমুদ মুন্না বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, প্রধান শিক্ষক বদমেজাজি। সেদিন বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও প্রধান শিক্ষক তা শোনেননি। এর আগেও এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেননি তিনি। পরে বিষয়টি আমি সমাধান করে দেই।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু সালেহের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের - dainik shiksha হামলায় মোল্লা কলেজের ৩ শিক্ষার্থী নিহত, দাবি কর্তৃপক্ষের সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস - dainik shiksha নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর - dainik shiksha অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013640880584717