বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো শিক্ষার্থী এসএসসিতে প্রথম বিভাগে কৃতকার্য হয়নি। ২০০১ সালে শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএ পদ্ধতি চালু হলেও জিপিএ-৫ পায়নি কোনো শিক্ষার্থী। অবশেষে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর জিপিএ-৫ পেয়ে বিদ্যালয়ে ইতিহাস গড়েছে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র সাহার ছেলে অর্ণব কুমার সাহা।
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অর্ণব সাহা জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্ণবের বাড়ি উপজেলার ৭ নম্বর পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে। সে দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র সাহার ছেলে। বিদ্যালয়ের ২৫ বছরের ইতিহাসে এমন ভালো ফলে অর্ণবের বাড়ি ও স্কুলে আনন্দের বন্যা বইছে।
অর্ণবের বাবা ও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ছেলের এমন ভালো রেজাল্টে অনেক খুশি হয়েছি। ছেলেকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখি। তাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়াতে চাই। আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ও পিছিয়ে পড়া। তাদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত করানোটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’
সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, তাঁদের বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তখন থেকে এ বিদ্যালয়ে এসএসসিতে কোনো শিক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়নি। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে জিপিএ পদ্ধতি চালু হওয়ার পরও কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। ছেলের ভালো ফলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সেই কলঙ্ক ঘুচল। তার ভালো ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সবাই অনেক খুশি হয়েছেন। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা থাকবে।
ভালো ফলের প্রতিক্রিয়ায় অর্ণব কুমার সাহা বলে, ‘আমার বিদ্যালয়ে আমি প্রথম জিপিএ-৫ পেয়েছি। এটি আমার জন্য অনেক খুশির খবর। আমার ভালো ফলের পেছনে মা-বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। আর বিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক আব্বাস স্যার, পদার্থবিজ্ঞানের রাশিদা ম্যাডাম ও জীববিজ্ঞানের পারুল ম্যাডাম আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আমি লেখাপড়া করে বড় একজন প্রকৌশলী হতে চাই।’
16