লোনা পানির ঢেউ খেলছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে। পুরো মাঠ জুড়ে পানিতে টইটম্বুর। ডুবে আছে শহীদ মিনারের বেদি ও জাতীয় পতাকার মঞ্চ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও স্কুল সংলগ্ন মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য রেজাউল ইসলামের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শিহাবুদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রেজাউল ইসলাম স্কুল সংলগ্ন প্রায় ৮ বিঘা বিলান জমিতে লোনা পানি তুলে চিংড়ি মাছের চাষ করেন। তিনি তার মৎস্য ঘেরের বাকি ৩ অংশে বেড়িবাঁধ দিলেও স্কুলের অংশে ইচ্ছাকৃতভাবেই বেড়িবাঁধ দেননি। ফলে মৎস্য ঘেরে জোয়ারের পানি তুললেই তা স্কুল চত্বরে ঢুকে মাঠ প্লাবিত হয়ে যায়। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে তার ঘেরের পানি উপচে একইভাবে স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়েছে। এতে স্কুলের শহীদ মিনারের বেদি, জাতীয় পতাকার মঞ্চ ও পশ্চিম পাশের স্কুল ভবনের বারান্দা তলিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, লবণাক্ত পানির জন্য ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে স্কুলে যাতয়াতে বাধাগ্রস্ত হয়। দ্রুত পানি অপসারণ না করলে লোনা পানিতে স্কুলের পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
স্থায়ী সমাধানের জন্য ওই মৎস্য ব্যবসায়ীকে অনতিবিলম্বে তার ঘেরের উত্তর দিকে (স্কুল) বাধ নির্মাণ করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ম্যানেজিং কমিটির নেতারা ও অভিভাবকরা। স্কুল চত্বরে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় এমপির কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে রেজাউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।