দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঝিনাইদহ : আলমডাঙ্গায় বোনদের জমি জবরদখল করে চাষাবাদ করার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ওরফে জুয়েল রানা। সে স্থানীয় বকশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং উপজেলার মাজু গ্রামের মৃত গোলাম সোবহানের ছেলে।
এ ঘটনার ভুক্তভোগীরা হেলেন- ঝিনাইদহ শহরের শেরে বাংলা সড়কের আবুল হোসেনের স্ত্রী হেলেনা আক্তার ও তার খালাতো বোন উম্মে হাবিবা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তরভাগীদের মা ও খালারা উপজেলার মাধবপুর ও মাজু মৌজায় নানির ওয়ারিশ হিসেবে ৮ বিঘা জমি পাবেন। এই জমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের মামাতো ভাই স্কুল শিক্ষক জুয়েল রানা জবর দখল করে খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সে ওই জমির নাম খারিজও করেছেন। এখন জমি দখল বা কারো কাছে বিক্রি করতে গেলে জুয়েল জমির কাছে যেতে দিচ্ছেন না।
উম্মে হাবিবা ও তার স্বজনরা জানান, মাহমুদুল হাসান জুয়েল সরকারি চাকরি করলেও একজন প্রতারক মানুষ। জমি দখলের জন্য সে কিছু জমির জাল দলিলও করেছেন। ভুক্তভোগীরা এসিল্যান্ড অফিসে নাম পত্তন ও জমা খারিজের জন্য আবেদন করলে জুয়েল আদালতে মামলা চলছে এমন মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে আলমডাঙ্গা সহকারি কমিশনারকে (ভুমি) প্রভাবিত করে তাদের নাম-পত্তন মামলা খারিজ করতে সমর্থ হয়।
এ বিষয়ে জুয়েল রানা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো জমি দখল করিনি বরং তাদের সহায়তা করেছি। তারপরও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, কারণ আমি সরকারি চাকরি করি। তিনি বলেন অভিযোগকারীরা মাজু ও মাধবপুর মৌজার ৫১ দাগে ৫৫ শতক জমির নামপত্তন করেছেন। সেই জমি তারা বিক্রি করতে চাইলে বেশি দাম চাচ্ছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার শামছুজ্জোহা জানান, বিষয়টি আমার মাথায় আছে। আমি ওই অসহায় নারীদের জমির নামপত্তনে সহায়তাও করেছি। দেখি কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়।