স্কুলছাত্র বাপ্পি হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি |

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঞ্চল্যকর মেধাবী স্কুল ছাত্র সাইদুল ইসলাম বাপ্পি (১৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামী লিটন মিয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ এর সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নৈকাহন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা। এ সময় ছিনতাই যাওয়া অটোরিকশার অংশবিশেষ উদ্ধার করে র‍্যাব। পরে বিকেলে র‍্যাবের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (সিনিয়র এএসপি) রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলো বাপ্পি হত্যা মামলার প্রধান আসামী গোপালদী পৌরসভার উলুকান্দী পূর্বপাড়া গ্রামের করম আলীর ছেলে লিটন মিয়া (৩৫)। অপর আসামীরা হলো নরসিংদী মাধবদী নোয়াকান্দি গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে মো. হাফিজ (৫৮), উপজেলা নৈকাহন এলাকার ফরিদুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুর রহমান শিপু (২৪), একই এলাকার মইজ উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (১৮), কায়িমপুর এলাকার জংসর আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন।

র‍্যাবের সিনিয়র সহকারি পরিচালক রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

আড়াইহাজার থানার ওসি ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, গোপালদী পৌরসভার উলুকান্দি গ্রামের দরিদ্র খোকন মিয়া অটোরিকশা চালিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসারের খরচ মেটান। তার কষ্ট দেখে প্রায়ই অটোরিকশা নিয়ে বের হতো ছেলে সদাসদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বাপ্পি (১৪)। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে অটো নিয়ে গ্যারেজ হতে বের হলে লিটন মিয়া তার শ্বশুর বাড়ি যাবে বলে বাপ্পির অটোরিকশা ভাড়া করে। পরে তার সহযোগিদের নিয়ে বাপ্পিকে হত্যা করে অটোরিকশা এবং তার সাথে থাকা গলার চেইন ও ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়।

বাপ্পি বাড়িতে ফিরে না আসায় তার মা পারভীন আক্তার বিভিন্ন জায়গায় খোজ করে না পেয়ে লিটনকে জিজ্ঞেস করলে সে জানেনা বলে জানায়। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আড়াইহাজার উপজেলার নয়নাবাদ এলাকার একটি ডোবার মধ্যে বাপ্পির মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত বাপ্পির মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে লিটন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে খুঁজতে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।

এদিকে বাপ্পির পিতা খোকন মিয়া বলেন, আমার মতো আর কাউকে যাতে সন্তান হারা না হতে হয়। এসময় তিনি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039019584655762