স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ বৃদ্ধের বিরুদ্ধে, সংঘর্ষে আহত ১০

রাজশাহী প্রতিনিধি |

পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। গুরুতর ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে খলিলুর রহমান (৭০) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এসময় কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই গ্রুপের মারামারিতে ওই কিশোরীর বাবা-চাচাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় মেয়ে মা বাদি হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিক্টিমের মা, বাবা ও ভাইকে মারধর করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ শান্ত।  

তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত খলিলুর রহমান একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
 
কান্দ্রা ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে একটু দূরে টয়লেটে যায়। সে সময় অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই কিশোরীকে জোর করে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটি পরিবার ও অভিযুক্ত পরিবারের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরে তুলে নিয়ে গিয়ে সর্বনাশ করল। সেই প্রতিবাদ করায় খলিলুরের লোকজন আমাদের পরিবারের ওপর হামলা করে। তাদের মারধরে আমার স্বামী ও দেবর গুরুতর আহত হয়েছেন। এখন আহত স্বামী ও দেবর পুঠিয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
 
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন আরও জানান, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। মারামারিতে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনাটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052509307861328