স্কুলছাত্রীকে ধর্ষ*ণ ও ভিডিও ধারণ : স্ত্রীসহ ধ*র্ষক গ্রেফতার

বরগুনা প্রতিনিধি |

বরগুনার বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে বামনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন- বামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের হাশেম ঘরামীর ছেলে আলআমীন (৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগম (২৩)।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় বামনা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা। অভিযোগ পেয়ে ওই দিন রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাদের বরগুনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কারো নিজেদের মোবাইল ফোন না থাকায় স্বজনদের সঙ্গে প্রায়ই প্রতিবেশী আল আমীনের ফোন থেকে কথা বলত। এই সুযোগে আল আমীন প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিত। গত ২৮ জুলাই বেলা ৩টার দিকে আলআমীনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিয়ে ঘরের পাটাতনে আসতে বলে। সেখানে আগে থেকেই আলআমিন অবস্থান করছিল। তাকে দেখে ওই শিক্ষার্থী নিচে নামতে গেলে স্ত্রী তাজেনুর তাকে বাধা দেয় এবং টেনে পাটাতনে ফেলে দেয়। সে পড়ে গেলে আলআমিন পরনের কাপড় খুলে তাকে ধর্ষণ করে। এসময় তার স্ত্রী ওই ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন। এর পর ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে সে তার প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ওই ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা নিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, অনেকদিন ধরে আমার মেয়েকে লক্ষ্য করেছি মনমরা। তখন বুঝি নাই। অভিযুক্তরা আমার মানসম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। জানিনা এর পর মেয়েটির অবস্থা কেমন হয়। আপনারা আমার মেয়েটিকে রক্ষা করেন। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বামনা থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছি। পরে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের বরগুনা জেলহাজতে পাঠিয়ে দিয়েছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002608060836792