বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক স্কুলশিক্ষিকাকে (৩০) বিয়ে ও চাকরির কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার রাতে আসামি সুমন হাসানকে (২৫) ঢাকার বাইপাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাঁর বাড়ি পশ্চিম ভরনশাহী গ্রামে।
রোববার দুপুরের দিকে তাঁকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই স্কুলশিক্ষিকার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলশিক্ষিকা ধুনট শহরের একটি বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরি করতেন। বাড়ি থেকে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে সুমন হাসানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ের গত ৪ মে সুমন হাসান ওই স্কুলশিক্ষিকাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকা বাইপাইল এলাকায় নিয়ে যান।
এ সময় সুমন হাসান বিয়ের কথা বলে স্কুলশিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন। প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও চাকরি হয়নি স্কুলশিক্ষিকার। সুমন হাসান বিয়ে করতেও অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ১১ জুন বাড়ি ফিরে আসেন ওই স্কুলশিক্ষিকা।
পরবর্তীকালে ১৪ জুলাই আবারও একই কথা বলে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন সুমন হাসান। কিন্তু চাকরি ও বিয়ে কোনোটাই না হওয়ায় স্কুলশিক্ষিকা বাড়ি ফিরে গতকাল রাতে ধুনট থানায় সুমন হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
থানা-পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা বাইপাইল এলাকা থেকে সুমন হাসানকে গ্রেফতার করে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, স্কুলশিক্ষিকার অভিযোগটি আজ রোববার সকালে নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।