ছাতকে সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে ১৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। গত সোমবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া লিখিতভাবে তাদের শোকজ করেন। এরমধ্যে ৬ জন প্রধান শিক্ষক ও ৮ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (সময়মতো উপস্থিত) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ৬ ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন বলে তাদেরকে এই নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ প্রদানের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। অন্যথায় এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও নোটিশে বলা হয়।
যেসব শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরতুজ আলী, কামরাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুকিত, সদুখালী- নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরিফা বেগম, গদারমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহীনা আক্তার, বড়পলিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তুলসী রানী দেবনাথ, চরবাড়ুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পান্না বেগম, গোয়ালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুমেনা বেগম, সৈদেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ, গদারমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহীনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সুধাংশু শেখর দাস, সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ, ভাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নসিবা বেগম, ছৈলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, সহকারী শিক্ষিকা হাসনা বেগম ও গনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাবিনা বেগম।
গত সোমবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের অবস্থান জানতে চান। এ সময় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি মোবাইল হোয়াটসআপ’র মাধ্যমে ভিডিও দেখাতে বলা হয়। অভিযুক্ত ১৪জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যথাসময়ে বিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় গণকর্মচারী শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের শোকজ করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, শিক্ষার মানোন্নয়নে ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা বাধ্য করতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।