কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, অফিস সহায়ক ও দপ্তরি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১৮ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পদপ্রত্যাশী তিন ব্যক্তি।
অভিযুক্ত সভাপতির নাম মো. আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা। তিনি জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান।
অভিযোগকারীরা হলেন মহেন্দ্রপুর গ্রামের মো. সিরাজ প্রামাণিকের ছেলে মো. পলাশ হোসেন, শহিদ প্রামাণিকের ছেলে মো. মামুন হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ খানের ছেলে হিমেল খান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রহিম খান বলেন, তিনটি নয়, অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার ও নিরাপত্তাকর্মীর দুই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। মার্চ মাসে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এখনও পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়নি। তাঁর দাবি, তিনি কারও সঙ্গে অর্থ লেনদেন করেননি।
অভিযোগকারী পলাশ হোসেনের ভাষ্য, বাদশা চেয়ারম্যান তাঁকে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল আলম শিমুল টাকা লেনদেনের সাক্ষী। ওই পদে বেশি টাকা নিয়ে আজাদ নামের একজনকে ঠিক করা হয়েছে। আগামী ২৩ আগস্ট পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছে।
দপ্তরি পদপ্রত্যাশী মামুন হোসেন অভিযোগ করেন, দপ্তরি পদে চাকরির জন্য ১০ লাখ টাকার চুক্তি হয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে। দেড় বছর আগে তাঁর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু এখন বেশি টাকায় মিরাজুল নামের একজনকে ঠিক করা হয়েছে। তবে মিরাজুল বলেন, তিনি চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু কাউকে টাকা দেননি।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা দাবি করেন, বিদ্যালয়ে নিয়োগ হবে এটা সত্য। তিনি নিয়োগের জন্য কারও কাছ থেকে টাকা নেননি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার। ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।