বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গলাচিপার গোলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ৯ জনের নামে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে গত ৩১ জানুয়ারি ৯ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ে করেন ভুক্তভোগী মো. সায়েম।
বিবাদীরা হলেন- গোলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শাহ আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবুল আক্তার, বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ শফিসহ পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদয়ালয়ের প্রধান শিক্ষক, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং নিয়োগ প্রাপ্ত নৈশপ্রহরী মো. নবীন ।
এ বিষয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন ভুক্তভোগী মো. সায়েম ।
তিনি বলেন, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বরে একটি দৈনিক প্রত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গোলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদের জন্য আমি আবেদন করি। এরপর নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি (নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের স্মারক নং গোমারি/২০২৩/নিঃ/০১)। আমি পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিয়েছি। কিন্তু ফলাফল সন্তোষজনক না আসায় আমার সন্দেহ হয়। তাই আমি উক্ত পরীক্ষার খাতা পুনরায় যাচাই-বাছাই প্রয়োজন মনে করে প্রধান শিক্ষকের বরাবর আবেদন করি। কিন্তু তিনি কর্ণপাত না করায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করি। তাতেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি।
পরে আমি গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে গত ৩১ জানুয়ারি ৯ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা করেছি। মামলার বিবাদী পক্ষে ব্যাখা দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে গোলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব মো. শাহ আলম বলেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমরা বিধি অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছি। সায়েম নামে এক প্রার্থী মামলা করেছেন, আমরা আদালতে তার জবাব দেব।