স্কুলের অঙিনা থেকে শ্রেণিকক্ষ ডুবে আছে পানিতে। এদিকে মাধ্যমিকের ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার থেকে। এই পরিস্থিতিতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-অভিভাবকেরা।
অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনলেও কোনো নির্দেশনা আসেনি বলে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখা গেছে নিচ তলার সব শ্রেণিকক্ষ পানিতে ডুবে আছে। কোনোভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে পারছেন না শিক্ষকেরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশুতোষ পাল জানান, গত তিন দিন ধরে স্কুল পানিতে ডুবে আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালেও তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কী করবো বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নিখিল বিশ্বাস জানান, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন পরীক্ষা চালানো যাবে কি না, আমরা বলেছি আংশিক চালাতে পারবো। তবে শিক্ষার্থীরা আসতে পারবেন না। কিন্তু আমাদেরকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী মজুমদার জানান, পানিতে ডুবে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শ্রেণিকক্ষই ভালো আছে সে সব শ্রেণিকক্ষে ইচ্ছে করলে শিক্ষকেরা মূল্যায়ন কার্যক্রম চালাতে পারবেন। আর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একেবারেই কার্যক্রম চালানোর কোনো পরিস্থিতি নেই তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা ইচ্ছে করলে কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারবেন। মূল্যায়ন কার্যক্রম পরে করতে পারবেন। এমনটাই আমরা ঢাকা থেকে জেনেছি।