টাঙ্গাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মার্কেট নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর অভিযোগে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সে গণশুনানির রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। গত ২২ মে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হলেও এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে কিছু জানা যায়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় তিনি হজে গেছেন।
জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কুদরত ই এলাহী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, একমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী সব কাগজপত্র আমরা জেলা প্রশাসনে জমা দিয়েছি। প্রশাসন থেকে যা যা কাগজপত্র চেয়েছে আমরা সবকিছু জমা দিয়েছি। আমি মনে করি এখানে কোনো আইনগত বাধা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, স্কুলের জমির কিছু অংশ সাব কবলা দলিল মূলে খরিদ করা। আর কিছু জমি সরকারের থেকে লিজ নেয়া এবং জমির টাকা প্রতি বছর নিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়। এছাড়া আর কোনো জমি নেই। স্কুলের জমি বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। বরং আশেপাশে স্কুলের নিজস্ব জমিতে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করে দিয়েছি আমি।
স্কুলে কাঁচাবাজারের দোকান করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, স্কুলের বাইরের সীমানায় পাইকারি চালের মার্কেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু কাঁচাবাজারে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে কেউ কেউ। আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের ক্ষিপ্ত করে তোলার ষড়যন্ত্র মাত্র।
কেন প্রতিষ্ঠানে মার্কেট করার পরিকল্পনা করেছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই স্কুলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ছাড়া কোনও ধরনের আয়ের উৎস নেই। এখানে সারা বছরের খরচ চালানো কষ্টকর। স্কুলের তহবিলে থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। লেখাপড়ায় ধরে রাখতে গেলে মেয়েদের ফ্রি পড়ার ব্যবস্থা করে থাকি। যাতে ঝরে না পড়ে। এগুলো চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই এই মার্কেট করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।