মানসিক অসুস্থতা ও শেখার আগ্রহ কমে যাওয়ার মতো ঝুঁকি ঠেকাতে স্কুলে স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করবে, এমন এক আইনে স্বাক্ষর করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ আইনে স্বাক্ষর করা হয়।
এ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১৩টি অঙ্গরাজ্যে স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বা স্থানীয় শিক্ষাবিদরা এমনটি করার পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন সাময়িকী এডুকেশন উইকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ফ্লোরিডা থেকে ফোনে নিষেধাজ্ঞা জারির এই যাত্রা শুরু হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় পাবলিক স্কুল শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৯ লাখ। এ অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেস কাউন্টি স্কুল বোর্ড জুন মাসে চার লাখ ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
একই মাসে বিভিন্ন সিগারেটের প্যাকেজ বা মানসিক স্বাস্থ্যের জরুরী অবস্থার মতো কনটেন্টে একটি সতর্কতা লেবের যোগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল ভিভেক মুর্তি।
সে সময় মেডিকেল জার্নাল জামা’য় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন মুর্তি। এতে দেখা যায়, যেসব কিশোর কিশোরী দিনে তিন ঘণ্টার বেশি সময় সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপে কাটান, তাদের মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া, ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ‘গ্যালাপ’-এর একটি জরিপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি, যেখানে দেখা গেছে, কিশোর কিশোরীদের বেলায় দৈনিক গড়ে চার ঘণ্টা ৪৮ মিনিট কেড়ে নেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
এই আইনটি পাস করার সময় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ‘অ্যাসেম্বলি’তে ভোটের অনুপাত ছিল ৭৬-০। আর সিনেটের বেলায় তা ৩১-১। আর এতে বিভিন্ন স্কুলের বোর্ড বা সরকারি অবকাঠামোকে এমন এক নীতিমালা তৈরির কথা বলা হয়েছে, যা ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে পয়লা জুলাই থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করবে। আর এ নীতিমালা প্রতি পাঁচ বছর পরপর আপডেট করার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে বিলে।
“আমরা জানি, স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে, আমাদের সেটা ঠেকানোর ক্ষমতা আছে। নতুন এ আইনটি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, সামাজিক বিকাশ ও গোটা বিশ্বকে স্ক্রিন নয় বরং সামনে থেকে দেখার সুযোগ করে দেবে,” এক বিবৃতিতে বলেন নিউসম।