স্কুলে শিশুবান্ধব সূচিতে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের অভিনন্দন

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে প্রাথমিকে শ্রেণির কার্যক্রম সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সময়সূচি নির্ধারণ করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ।

গতকাল শনিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এক অভিনন্দন জানান সংগঠনটির নেতারা।

বিবৃতিতে নেতারা জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে গ্রীষ্মের এ সময়সূচি বাস্তবধর্মী উদ্যোগে অভিভাবক শিক্ষক ও সচেতন মহলসহ সবার কাছে প্রশংসনীয় হয়েছে। 

নেতরা মনে করেন, সকাল সাড়ে ১১টায় রৌদ্রের প্রকোপ তীব্র থাকে। এদিক থেকে বিবেচনা করে সাড়ে ১১টার পরিবর্তে সাড়ে ৭ টায় বিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করে ১১ টার মধ্যে শেষ করা যেতে পারে।

সাড়ে সাতটায় শ্রেণির কার্যক্রম চালু হলে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকেও পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যেতে পারে। 

নেতারা শিশুবান্ধব সময়সূচি পরিবর্তনের লক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসলাম ধর্মের শিক্ষার্থীদের সকালবেলা কায়দা, আমপারা, কোরআন শরীফ শেখার সুযোগ নিশ্চিত করে, বিদ্যালয়ের সময়সূচি দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করার যৌক্তিক সুপারিশ উপস্থাপন করেছে।

এই সময়সূচি শিক্ষার্থীর দুপুরে গরম খাবার খাওয়া, গোসল করা, বিশ্রাম বা ঘুমানোসহ বিকালবেলা ফুরফুরে মেজাজে খেলাধুলা বা বিনোদনের সুযোগ নিশ্চিত করবে। 

এতে প্রধানমন্ত্রীর লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিনোদনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন সফল হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে সাতটি পিরিয়ডের কার্যক্রম হয়ে থাকে। 

প্রতিটি পিরিয়ড ৪০ মিনিটের বা কম সময়ের। এ সময়ে শিক্ষকরা ৩ থেকে ৪টা পিরিয়ড করার পরে শারীরিক মানসিক ক্লান্তি বোধ করেন। এর ফলে শিক্ষকেরা পরবর্তী শ্রেণির কার্যক্রমগুলো যেনোতেনো-দায়সারাভাবে শেষ করে থাকেন। যার ফলে শিক্ষার্থীরা গৃহশিক্ষক, কোচিং বা নোট গাইডের সহায়তা নিতে বাধ্য হন। এর ফলে শিখন ঘাটতি দূর করা সম্ভব হয় না। 

শিখন ঘাটতিরোধকল্পে বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীর শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে প্রতিটি পিরিয়ডের সময়সূচি ১ ঘণ্টা করার সুপারিশ করা হলো।

শিক্ষার্থী শিক্ষকের শারীরিক মানসিক সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা দৈনিক চার পিরিয়ডের বেশি নির্ধারণ করা কাম্য নয়। শিশুবান্ধব সময়সূচির মাধ্যমে নিশ্চিত হোক শিশুর অধিকারসহ দূর হোক শিখন ঘাটতি।

এই বিবৃতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় উপপরিচালক, ইন্দু ভূষণ দেব, সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমান উল্ল্যা, সামসুদ্দিন বাবুল, সহসভাপতি আসমা বেগম, সাধারণ সম্পাদক এম.এ. ছিদ্দিক মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল হালিম সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, আলমগীর হোসেন হাওলাদার, শাহনেওয়াজ সেলিম, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক মো. আ. কাদের।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046498775482178