নওগাঁর বদলগাছীর বেগুন জোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ ও এক সহকারী শিক্ষিকার অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মিলেছে তদন্ত। গত জুলাই মাসের শুরুতে তাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিলো। এ ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয়। এদিকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলায় চাকরিবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ ঘটনায় গত ৫ জুলাই শিক্ষা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমে স্কুলেই শিক্ষক-শিক্ষিকার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটির গঠন করে দেয়া হয়। উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার অঞ্জন কুমার কুন্ডু ও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠন কুমার কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কর্মকর্তাগণ গত ১২ জুলাই সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বক্তব্য, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও স্থানীয়দের বক্তব্য নেন।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা ও গত ৫ আগস্ট প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে তাদের বক্তব্য দিয়ে আসেন। বক্তব্যে তারা ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট সবার দেয়া তথ্য প্রমাণা দীর্ঘ দেড়মাস সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে গত ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামীম আহমেদ ও সহকারী শিক্ষিকার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তদন্ত ও যাচাই-বাছাই করে তার সত্যতা পাওয়া যায়। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে গত কয়েকবছর ধরে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ আছে। তিনি এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখি হয়েছেন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রতিবারেই ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে তিনি অফিস রুমে একাধিকদিন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে মানেজিং কমিটির কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পরে এলাকাবাসীরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।