ফরিদপুরের বোয়ালমারীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলের বেঞ্চ বানানোর অজুহাতে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৩টি মেহেগনি গাছ সভাপতি কাটছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও বছর তিনেক আগে ওই সভাপতি একই অজুহাতে গাছ কেটে নিয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামে অবস্থিত গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি মেহেগনি গাছ কেটে নিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা জামান সিদ্দিকী। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি লোক দিয়ে দুটি গাছ কেটে নিয়েছেন। অপর একটি মেহেগনি গাছ কাটার কাজ চালাচ্ছেন শ্রমিকরা।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে স্কুলে গেলে স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন।
গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত আহাদ আলী নামের এক শ্রমিক জানান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তফা জামান সিদ্দিকী গাছ কাটার জন্য তাদের ঠিক করেছেন। দৈনিক মজুরি হিসেবে তাদেরকে ঠিক করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তফা জামান সিদ্দিকী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লাস করে। সে কারণে রেজুলেশন করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মৌখিক অনুমতি নিয়ে বেঞ্চ তৈরির জন্যে বিদ্যালয়ের সীমানার গাছ কেটেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইউব আলী বলেন, এ বছর বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী অনেক বেড়ে গেছে। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে রেজুলেশন করেই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। আমার কাছে রেজুলেশন আছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রকিবুল হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার গাছ কাটার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা নেই। আমার জানা মতে তিনি অনুমতি দেননি।
বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নেয়া প্রসঙ্গে ইউএনও মোশারেফ হোসাইন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার ঘটনাস্থলে যাবো। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।