ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেয়া সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও অনিয়ম তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য সহ অভিভাবকবৃন্দ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট দি্বমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ম্যানেজিং কমিটি গঠনে নীতিমালা উপেক্ষা করে নীলফামারী জেলার ডোমার সরকারি কলেজের অধ্যাপক স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হেসেনকে বিদ্যালয়ের সভাপতি বানিয়েছেন। সম্প্রতি আবুল কালাম আজাদ অবসরে যাওয়ার আগে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে যোগসাজস করে গোপনে বিদ্যালয়টির অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। ঐ পদে নিয়োগের সময় অন্যান্য আবেদনকারীদের জানানো হয়নি। গত ৫ নভেম্বর নিয়োগ প্রাপ্তরা বিদ্যালয়ে যোগদান করলেও কাগজে কলমে ৮ অক্টোবর যোগদান দেখানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবুল হোসেন ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষককে ব্যাক ডেটে অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে যোগদান করাতে বাধ্য করেছেন।
এছাড়াও প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অবসরে যাওয়ার সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককেও দায়িত্ব বুঝে দেননি। বিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ডের টাকা তুলে নিয়ে একাউন্ট শূন্য করে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আলাউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, অফিস সহায়ক প্রার্থী কাউসার আলী, রবিউল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রার্থী নাসরিন বেগম প্রমুখ।
অভিযোগ বিষয়ে নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট দি্বমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে তোলা কোনো অভিযোগই সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের নীতিমালা মেনেই অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়া আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে বিদ্যালয়ের হিসাব নিকাশ সহ সব ফাইল পত্র বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র বলেন, নিয়োগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সভাপতি ও আগের প্রধান শিক্ষকই যা করার করে গেছেন। সভাপতি সাহেব তাকে ব্যাক ডেটে যোগদান করাতে বাধ্য করেছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাবুল হোসেন জানান, এক সাবেক এমপি’র প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ওনার কাছে কি টাকা নেয়া যায় ? তাছাড়া আমি ঐ সাবেক এমপি সাহেবের বাইরে যেতে পারব না। নিয়মের মধ্যে থেকে তার কথামত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্যাক ডেটে যোগদান করাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বাধ্য করানোর অভিযোগটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।