স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এসইউবি) 'বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেজিং ফর ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ' বিষয়ে দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ই-কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ ও বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির যৌথ উদ্যোগে কনফারেন্সটির আয়োজন করা হয়।
স্টেট ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য ও অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকি। স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম, প্রাণ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইলিয়াস মৃধা ও বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকতাদুল হক ।
এছাড়াও কনফারেন্সের আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মু. শফিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, ওমান, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ভারত ও বাংলাদেশের বায়োডিগ্রেবল প্যাকেজিং বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, একাডেমিশিয়ান ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক ড. শ্যাম সাবলানি, গিয়াংসাং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. জিন কুক কিম, সুলতান কাবুস ইউনিভার্সিটি ওমানের অধ্যাপক ড. মো. শফিউর রহমান ও ড. মুহাম্মদ আল খুসাইবি, পুত্র ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. মো. জাওয়াদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, ইনস্টিটিউট ফর সাইন্টিফিক রিসার্চ কুয়েতের রিসার্চ সাইন্টিস্ট ড. জসিম আহমেদ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি রুরকেলা, ভারতের সহকারী অধ্যাপক ড. প্রিতম সরকার ও নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের প্যাকেজিং এক্সপার্ট জনাব শরীফ আহমেদ।
ই-কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বে বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্যাকেজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বাঁচাতে বায়ো-ডিগ্রেডেবল প্যাকেজিংয়ের সর্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী। তিনি আরো বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেজিং সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।