নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতেনগত চার দিন প্রেমিক নিপুন রায়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তার কলেজছাত্রী প্রেমিকা। জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাকডোকরা বাবুপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে প্রেমিকা বাসায় আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিপুন রায়।
নিপুন রায় উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাকডোকরা বাবুপাড়ার বাবু ভূপেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে। প্রেমিকা নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ও সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খলিশাপচাঁ এলাকার বাসিন্দা। নিপুন রায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র।
প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৫ বছর আগে নিপুনের মামা কনকের মাধ্যমে নীলফামারী কলেজে তার সাথে আমার পরিচয় ঘটে। এরই এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। লেখাপড়ার কারণে এক সময় আমরা দুজনে ঢাকা গেলে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জানুয়ারি আমরা দুজনে ঢাকার লোকনাথ মন্দিরে বিয়ে করি। বিয়ের সময় নিপুনের বান্ধবী ও তার স্বামী উপস্থিত ছিল। বিয়ের পর নিপুনের এক বান্ধবীর বাসায় আমরা এক সপ্তাহ অবস্থান করি। বিয়ের বিষয়টি চাকরি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে গোপন রাখতে বলেছিল নিপুন। কিন্তু এক মাস ধরে ধরে নিপুন আমার সাথে আগেরমত আর যোগাযোগ রাখছে না। তাই তাকে ফোন দিয়েই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি তার বাড়িতে চলে আসি। এখানে এসে নিপুনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রেমিকা আরও জানায়, নিপুনের পরিবার চাচ্ছে আমি এখান থেকে চলে যাই। তারা আমার পরিবারকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছে। তবে আমার পরিবার রাজি হয়নি।
প্রেমিকা কান্না জড়িতকন্ঠে জানান, হয় নিপুন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে নানহলে সে আমার মরা মুখ দেখবে। আমি যদি স্ত্রীর মর্যাদা না পাই তাহলে আমার আত্মহত্যার পথ ছাড়া আর কিছুই থাকবেনা।
এব্যাপারে নিপুন রায়ের বাবা বাবু ভূপেশ চন্দ্র রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেয়েটি গত চারদিন ধরে আমার বাড়িতে আছে। মেয়েটি বলছে সে নাকি আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমার ছেলে বাড়িতে আসুক তার মুখে সব শুনে সিদ্ধান্ত নেবো।
নিপুনর চাচা জগদিশ চন্দ্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিপুনকে বাড়িতে আসতে বলেছি। মেয়েটির কথা যদি সত্য হয় তাহলে আমরা নিপুনের সঙ্গে তার বিয়ে দেবো।
বোড়াগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমুন বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অবস্থান করার কথা নিশ্চিত করে জানান, আমি ঢাকায় থাকায় ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। উভয় পক্ষ বসে একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।