করোনা মোকাবেলায় হাত দিয়ে স্পর্শ ছাড়া হাত ধোয়ার মেশিন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়েছে। লোহার স্ট্রাকচার আর ছোট একটি পানির ড্রাম দিয়ে তৈরি করেছে এই হাত ধোয়ার মেশিন। যেটি ব্যবহার করার জন্য হাত দিয়ে স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই। করোনা পরবর্তী সময় স্কুলে ক্লাস শুরু হলে এ মেশিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার কাজে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১৩মে) সকালে বিশেষভাবে তৈরি এ হাত ধোয়ার বেসিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান শিক্ষকদের হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. খালেদা খাতুন রেখা । এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে এম জামান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুব্রত রায়, সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ ফকিরসহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, উপজেলার ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ মেশিন সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাকিম। চলতি অর্থবছরে স্লিপের বরাদ্দ থেকে এর ব্যয় নির্বাহ করা হয়েছে।
মেশিনটিতে লোহার একটি কাঠামোর নীচে একটি প্যাডেল রয়েছে। এটিতে পা দিয়ে চাপ দিলেই উপরের ড্রাম থেকে পানি প্রবাহিত হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেসিনের নীচে ম্যাজিক পাইপ দিয়ে হাত ধোয়া পানি দূরে নির্দিষ্ট স্থানে চলে যাচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. খালেদা খাতুন রেখা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে গ্রামাঞ্চলে সাবানই মূল ভরসা। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে বার বার সাবান দিয়ে ধোয়া অসুবিধা। তার ওপর একই ট্যাপ, বেসিন, হ্যান্ডওয়াশের বোতল সবাই ব্যবহার করলে সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় আছে। এই ভাবনা থেকে তৈরি হয়েছে এমন ওয়াশবেসিন যাতে হাত দিয়ে কোনও কিছু ছোঁয়ার প্রয়োজনই নেই।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
এ কাজের কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুব্রত রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বেসিনের ট্যাপ স্পর্শ না করেই হাতে চলে আসছে পানি। ফলে হাত ধুতে গিয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানো যাচ্ছে।