ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেট কারের চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক চালক আজহার জাফর শাহকে গণপিটুনি দিয়েছে উপস্থিত সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তিনি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষকের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় তাদের সম্মতি নেয়া যাচ্ছে না। আর এ কারণে করা যাচ্ছে না তার প্রয়োজনীয় অপারেশন, ব্যহত হচ্ছে অন্যান্য চিকিৎসা কার্যক্রমও।
এ বিষয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাফর বলেন, গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষাও করানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে এখনো তার পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তাদের অনুমতি ছাড়া অপারেশন করা যাচ্ছে না।
প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে তার চিকিৎসা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। ঢাকা মেডিকেল একটা সরকারি হাসপাতাল। বাকি বিষয় তারা দেখবে।
তবে সাবেক শিক্ষকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয় দায়বদ্ধ নয় বলে জানিয়েছেন প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, যেহেতু তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতি দায়বদ্ধ নয়।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত রুবিনা মোটরসাইকেলে আরোহীর আসনে ছিলেন। তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয় আজহারের প্রাইভেট কার। এ সময় রুবিনা নিচে চাপা পড়লেও গাড়ি থামাননি তিনি। এমনকি রুবিনার শরীর গাড়ির সঙ্গে আটকে গেলে তাকে নিয়েই গাড়ি চালিয়ে নীলক্ষেতের দিকে চলে যাওয়ার উপক্রম করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ির নিচে আটকে থাকা রুবিনাকে নিয়ে প্রাইভেট কারটি দ্রুতগতিতে রোকেয়া হলের সামনে থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের দিকে ছুটে যাচ্ছে।
পরে উপস্থিত লোকজন পেছনে ধাওয়া করে নীলক্ষেত এলাকায় তাকে থামায়। গাড়ির নিচ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রুবিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গাড়ি থামানোর পর উপস্থিত লোকজন চালক আজহার জাফরকে মারধর এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত চালক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।