দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গণধর্ষণে মত্ত ছিলো তাদের একটি তালিকা তৈরি ও প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম। সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত 'একাত্তরের গণহত্যা: ইতিহাসের দায় ও আমাদের দায়িত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি প্রজন্ম প্রকৃত সত্য খোঁজ করার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে আর আমরা উল্টোটা করছি। আমাদের শিকড় জানতে হবে, ইতিহাস জানতে হবে। একটা পক্ষের বিকৃত চিন্তা-চেতনার কারণে ইতিপূর্বে মিথ্যা ইতিহাস চর্চা হয়েছে। এই গোষ্ঠী আওয়ামী বিরুদ্ধাচারণ করার জন্যই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও সম্ভ্রমহানী নারীর সংখ্যার ভুল প্রচার করে থাকে, যে কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার রাজনৈতিক আদর্শ যদি সমাজে প্রতিফলিত হতো, তাহলে সবাই রাজনীতিবিদই হতে চাইতো। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর মাঝে কোনো বিভাজন নাই, এটা থাকা উচিত নয়- পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের তুলে তা ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না এবং জাতির জনক সম্পর্কেও স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধিতা করেছিলেন, তারাই রাজনৈতিক অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সংখ্যাতাত্ত্বিক অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যার কারণে দীর্ঘ ৫০ বছর পার হলেও আমরা আন্তর্জাতিক জেনোসাইডের স্বীকৃতি আনতে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি।